হোম / আন্তর্জাতিক / সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত THAAD ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
saudi-arabia-thaad-defense-launch

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত THAAD ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

The Continental Herald Desk Report | ৩ জুলাই ২০২৫

 

সৌদি আরব তাদের প্রথম টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (THAAD) সিস্টেম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে, যা দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জেদ্দায় অবস্থিত এয়ার ডিফেন্স ফোর্সেস ইনস্টিটিউটে এক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়। THAAD একটি উচ্চ প্রযুক্তির মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর এবং বাইরে থেকে আসা স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলি প্রতিহত করতে সক্ষম।

 

সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও কৌশলগত অঞ্চলগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। দেশব্যাপী বেশ কয়েকটি পরীক্ষামূলক চালন এবং প্রশিক্ষণের পর এই সিস্টেম পূর্ণাঙ্গভাবে স্থাপন করা হলো।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে THAAD প্রতিরক্ষা সিস্টেম মোতায়েন করল। এর আগে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১১ সালে প্রথম THAAD সিস্টেম গ্রহণ করে এবং তা ২০১৬ সালে কার্যকর করা হয়। কাতারও একটি বিশাল ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র চুক্তির অংশ হিসেবে THAAD সিস্টেম পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, যা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঞ্চলিক সফরের সময় ঘোষণা করা হয়েছিল।

 

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবে THAAD বিক্রির অনুমোদন দেয়, যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে স্বাক্ষরিত ১১০ বিলিয়ন ডলারের বৃহৎ অস্ত্র চুক্তির অংশ ছিল। ২০২২ সালে সৌদি আরব ও লকহিড মার্টিনের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হয়, যার মাধ্যমে দেশটিতে THAAD-এর যন্ত্রাংশ, যেমন ইন্টারসেপ্টর লঞ্চার ও ক্যানিস্টার উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও উৎপাদন শুরুর নির্দিষ্ট সময় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

 

এদিকে, মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক জানায়, THAAD সিস্টেম বর্তমানে ‘ইসরায়েল’, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও তাইওয়ানে মোতায়েন রয়েছে, তবে সম্প্রতি এটি কার্যকারিতা নিয়ে কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষে ‘ইসরায়েলকে’ সহায়তা দিতে গিয়ে তাদের বৈশ্বিক THAAD ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের প্রায় ২০ শতাংশ ব্যবহার করেছে।

 

এছাড়াও, ইরান ও ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে THAAD সিস্টেম কিছু ক্ষেত্রে বিফল হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবে এই সিস্টেম মোতায়েন এক কৌশলগত অগ্রগতি, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর বিশেষ করে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মুখে দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Share
Scroll to Top