নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৭ PM
তার পুরো নাম শাহাবুদ্দিন মুহাম্মদ ঘুরি—একজন প্রখর কৌশলী, দূরদর্শী শাসক ও সেনানায়ক, যাঁর এই নাম ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা। তিনি কেবল একজন যুদ্ধজয়ী বিজেতাই ছিলেন না, বরং এই অঞ্চলে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, যা পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের পথ প্রশস্ত করে।
১২শ শতাব্দীতে ঘোরের এই মহানায়ক মধ্য এশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে নিজের অসামান্য রণকৌশল, অদম্য সাহস ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে ভারতবর্ষের ইতিহাসের ধারা পরিবর্তন করেন। ১১৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে রাজপুত শক্তিশালী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।
মুহাম্মদ ঘুরি ছিলেন কেবল সামরিক শক্তির অধিকারী নন, তাঁর দূরদর্শিতাও ছিল অনন্য। বিজিত অঞ্চলগুলোর স্থায়ী শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিনি কুতুবউদ্দিন আইবক-এর মতো দক্ষ সেনাপতিকে দায়িত্ব প্রদান করেন, যিনি পরবর্তীতে দিল্লি সালতানাতের গোড়াপত্তন করেন। ঘুরির এই সিদ্ধান্তই উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি রচনা করে, যা পরবর্তীতে শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্য ও সংস্কৃতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত