নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ৪:১৬ PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছেন, দাবি করেছেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে ওবামা প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্ড মার্কোস জুনিয়রের সাথে বৈঠকে ট্রাম্প ওবামাকে “গ্যাং লিডার” আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের বক্তব্য কী?
ট্রাম্প দাবি করেন, “ওবামা ও তার সহযোগীরা নির্বাচন চুরি করতে চেয়েছিল। এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতা, যা কোনো দেশেই কল্পনা করা যায় না।” তিনি সম্প্রতি জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “ওবামাকে রেডহ্যান্ডেড ধরা হয়েছে।”
২০১৬ সালের বিতর্ক কী ছিল?
২০১৬ সালে সিআইএ জানায়, রাশিয়া ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিল। তবে ২০১৯ সালে বিশেষ কাউন্সিলের রিপোর্টে ট্রাম্প-রাশিয়া কোল্যুশনের প্রমাণ না মিললেও রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করা হয়। ট্রাম্প এখন দাবি করছেন, এটি তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল।
গ্যাবার্ডের প্রতিবেদন ও সমালোচনা
গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওবামা প্রশাসন “ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ক্যু পরিকল্পনা করেছিল।” তবে বিশেষজ্ঞরা এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ রিপোর্টে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি রয়েছে। ডেমোক্র্যাট সিনেটর মার্ক ওয়ারনার গ্যাবার্ডের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
ওবামার জবাব
ওবামার অফিস থেকে বলা হয়েছে, গ্যাবার্ডের দাবি “অদ্ভুত” এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সত্যতা অস্বীকার করে না।
এই বিতর্ক ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। জেফ্রি এপস্টাইন কেলেঙ্কারিতে জড়িত ফাইল নিয়ে সমালোচনার মুখে ট্রাম্প এই ইস্যুতে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত