তালেবান বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও ইরানি লেখকদের বই নিষিদ্ধ করেছে—এই খবরটি নতুন করে আলোচনায় এনেছে আফগানিস্তানের শিক্ষা সংকটকে। মানবাধিকার ও নারীর অবস্থান নিয়ে এমনিতেই বিতর্কিত অবস্থায় থাকা তালেবান এবার সরাসরি নারীদের লেখা বই এবং ইরানি প্রকাশিত শত শত গ্রন্থ পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দিয়েছে। এতে দেশটির উচ্চশিক্ষা আরও সংকটে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
কোন বইগুলো নিষিদ্ধ করা হলো
- মোট ৬৭৯টি বইকে তালেবান “উদ্বেগজনক” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
- এর মধ্যে ১৪০টি বই নারী লেখকদের এবং ৩১০টি ইরানি লেখকদের।
- নিষিদ্ধ বইগুলোর তালিকা ৫০ পৃষ্ঠার এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
কোন বিষয়গুলো পড়ানো যাবে না
তালেবান সরকার জানিয়েছে, এখন থেকে অন্তত ১৮টি বিষয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে অন্তত ৬টি বিষয় সরাসরি নারী ও লিঙ্গভিত্তিক অধ্যয়নের সঙ্গে যুক্ত। যেমন:
“Gender and Development”
“Women’s Sociology”
“Role of Women in Communication”
তালেবানের দাবি, এসব বিষয় ইসলামি শরিয়াহ ও সরকারি নীতির বিরোধী।
নারীদের জন্য নতুন বাধা
- ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকেই নারীদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ।
- ২০২৪ সালে মিডওয়াইফারি কোর্সও বাতিল করা হয়।
- নতুন এই নিষেধাজ্ঞা নারীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষার সুযোগ আরও কমিয়ে দিল।
- আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, নারীদের শিক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। আফগানিস্তানের সাবেক উপমন্ত্রী জাকিয়া আদেলির মতে, তালেবান সরকার এভাবে নারীদের সমাজ থেকে একেবারে সরিয়ে দিতে চাইছে।
তালেবান বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও ইরানি লেখকদের বই নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি বড় ধাক্কা, কারণ তাদের শিক্ষার পথ ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
সত্য, স্বচ্ছ ও সাহসী সাংবাদিকতা
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত