হোম / আন্তর্জাতিক / পদত্যাগ করেছেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক
Yemeni Prime Minister Ahmed bin Mubarak resigns

পদত্যাগ করেছেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক

ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এবং সংস্কার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের (PLC) কাছে। শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, “সরকার পুনর্গঠন এবং প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগে আমি বারবার বাধার মুখে পড়েছি।” তিনি আরও জানান, নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তার নেতৃত্বে গত এক বছরে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ জ্বালানির ক্রয়ে ১৩৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হয়েছে।

বিন মুবারকের পদত্যাগ এমন সময়ে এলো যখন ইয়েমেন রাজনৈতিক অস্থিরতা, হুথি বিদ্রোহ এবং চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান রশাদ আল-আলিমির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

এপ্রিল মাসে মন্ত্রিসভার ১৮ জন সদস্য একটি স্মারকলিপিতে তার অপসারণ দাবি করেন, যা সরকারে অভ্যন্তরীণ বিভাজনের গভীর সংকেত দেয়। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে এডেনসহ সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবার অভাবে ব্যাপক গণবিক্ষোভ হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “এই পদত্যাগ ইয়েমেনের বৈধ সরকারের গভীর শাসন সংকটকে প্রতিফলিত করে। অভ্যন্তরীণ বিভেদ দেশ পরিচালনার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর সম্ভবত একটি বড় ধরনের মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন হতে পারে, যার মাধ্যমে প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত, যখন হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারকে এডেনে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করে।

Share
Scroll to Top