The Continental Herald ডেস্ক | ৬ মে ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য সহায়তা পাঠাবে। তবে ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজা ভূখণ্ড ‘অধিগ্রহণ’ ও ‘নাগরিকদের দক্ষিণে স্থানান্তরের’ কথা জানানো হয়েছে।
এক শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, “অভিযানের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হবে যুদ্ধ এলাকার সব গাজাবাসীকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া। এমনকি স্বেচ্ছামূলক স্থানান্তর প্রক্রিয়াও এ অভিযানের লক্ষ্য।”
ইতিমধ্যে গাজায় অন্তত ১৯ জন বেসামরিক মানুষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের গভীর উদ্বেগ
দুই মাসের অবরোধের পর গাজায় আবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, “এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আরও প্রাণহানি ও মানবিক দুর্ভোগ ডেকে আনবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় চলমান মানবিক সংকট মোকাবেলায় খাদ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমরা গাজার মানুষদের খাদ্য সহায়তায় সহায়তা করব।” তবে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
ইসরায়েল ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে। এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আকস্মিক হামলার প্রতিক্রিয়ায়।
এরপর থেকে গাজা জুড়ে চালানো হচ্ছে ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান। এবং এখন পুরো ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা সামনে আনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই খবরটি সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে… বিস্তারিত আসছে আরও…
#গাজা #ইসরায়েল_ফিলিস্তিন #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #জাতিসংঘ #TheContinentalHerald