নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৫, ০২:৪৬ PM
অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরনের অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এ এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (৭ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
আসিফ মাহমুদ বলেন, “গত কয়েক বছরে অনলাইন জুয়া ও বেটিং তরুণ সমাজের মধ্যে ভয়াবহভাবে ছড়িয়েছে। দ্রুত এই সংকট নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।” তার মতে, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে তরুণরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি নৈতিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নতুন আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- সব ধরনের অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট বেটিং, ক্যাসিনো গেমস, পোকার ইত্যাদি।
- জুয়া সাইট চালানো বা অংশগ্রহণ করলে জেল ও জরিমানা হতে পারে।
- সাইবার পুলিশ ও আইসিটি বিভাগ মনিটরিং জোরদার করবে।
তরুণদের উপর প্রভাব ও সমাধান
বাংলাদেশে গেমিং ও স্পোর্টস বেটিংয়ের প্রতি তরুণদের আকর্ষণ বেড়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেট ম্যাচের সময় অনলাইন বেটিং চাঙা হয়ে ওঠে। নতুন আইনের লক্ষ্য হলো:
✅ তরুণদের জুয়ার আসক্তি থেকে রক্ষা করা।
✅ ডিজিটাল ক্রাইম কমিয়ে আনা।
✅ সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
আইন ভঙ্গের শাস্তি
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী:
- জুয়া সাইট পরিচালনা: ৫ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
- বেটিংয়ে অংশগ্রহণ: ১ বছর কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা।
অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধকরণ সরকারের একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে শুধু আইন করলেই হবে না, এর কঠোর বাস্তবায়ন ও সচেতনতা তৈরি জরুরি। তরুণদের সুস্থ বিনোদনের বিকল্প দিতে পারলেই কেবল এই সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত