দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড ডেস্ক | ১১ মে ২০২৫, ঢাকা:
আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সরকারের সিদ্ধান্তকে “প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী” বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে—এই সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট, যদিও এটি অনেক দেরিতে এসেছে।”
তিনি দাবি করেন, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু সম্ভবই নয়, বরং আইনগতভাবে ন্যায্য ও প্রয়োজনীয় ছিল। “আমরা বহুবার সভা, সমাবেশ এবং আলোচনায় এ দাবি জানিয়ে এসেছি,” বলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন এবং ন্যায্য বিচার নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ সহায়ক হবে।
অতীতেও নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ছিল বিএনপি
তবে মির্জা ফখরুল স্মরণ করিয়ে দেন, প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার প্রবণতার বিরোধিতা বিএনপি সব সময়ই করে এসেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল—তখনও বিএনপি প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
নির্বাচন দাবি ও জনআকাঙ্ক্ষা
ফখরুল আবারও আগাম নির্বাচনের দাবি জানান এবং বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে মানুষ গুম, খুন, গ্রেফতার ও দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন জনগণের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ ও অস্থিরতা বিবেচনায় নিয়ে একটি স্পষ্ট নির্বাচন রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়।
🔴 বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিএনপি যে বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারে, তা স্পষ্ট। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে কি বিএনপির কৌশলগত পরিকল্পনাই মূল চালিকাশক্তি ছিল?
📌 বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আপডেট জানতে চোখ রাখুন দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড-এ।