নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৫, ০৮:০৪ PM
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে যুক্ত হচ্ছে চীনের অত্যাধুনিক জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিমান ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী হিসেবে পরিচিত এবং এটি বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে নতুন মাত্রা দেবে।
কেন জে-১০সি কিনছে বাংলাদেশ?
- পুরানো এফ-৭ ইন্টারসেপ্টর যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে আধুনিক বিকল্প হিসেবে জে-১০সি নির্বাচন
- দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে বাংলাদেশ
- আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সামরিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
কতটি যুদ্ধবিমান কেনা হচ্ছে?
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ১৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান ক্রয়ের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। এটি বাংলাদেশ-চীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি বড় পদক্ষেপ।
বিমানবাহিনীর প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন,
“আমরা আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আধুনিকায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। জে-১০সি আমাদের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে।”
আঞ্চলিক প্রভাব
- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক প্রতিযোগিতার মধ্যে বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ
- চীনের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদার হবে
- দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক শক্তি ভারসাম্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত
জে-১০সি কেন বিশেষ?
- রাডার এড়িয়ে চলার ক্ষমতা (Stealth Technology)
- দূরপাল্লার মিসাইল ও বোমা বহনে সক্ষম
- ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমানের সমকক্ষ হিসেবে বিবেচিত
বাংলাদেশের জে-১০সি যুদ্ধবিমান ক্রয় আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সম্পর্ককেও শক্তিশালী করবে।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত