দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড রিপোর্ট | ওয়াশিংটন ডিসি, ১৩ মে ২০২৫:
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১০ মে) ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস সিটিজেনশিপ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক নাগরিকত্ব শপথ অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের শপথ নেন এবং পরে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।
শপথ নেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই অনুষ্ঠানে ২২ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের শপথ নেন। এর মধ্যে তিনজন ছিলেন বাংলাদেশি, এবং তাদের একজন ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জয় একজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানে দেশের নাম অক্ষর অনুযায়ী ডাকা হলে ‘বাংলাদেশ’ নাম ঘোষণার পর দ্বিতীয় হিসেবে জয় মঞ্চে ওঠেন।
২০১৮ সালের বক্তব্যের বিপরীত অবস্থান
এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল জয়-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্ট, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে দাবি করেছিলেন, “সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে।”
তৎকালীন সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি কেবল ‘গ্রিনকার্ডধারী’ ছিলেন এবং নাগরিকত্ব নেননি। কিন্তু সাম্প্রতিক এই নাগরিকত্ব গ্রহণে সেই বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা ও সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে এখনো সজীব ওয়াজেদ জয় কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ কোনো সূত্র থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সজীব ওয়াজেদের নাগরিকত্ব গ্রহণ কেবল একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা ও সম্ভাব্য অংশগ্রহণের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার বিষয়েও আইনগত সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
এই সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড আরও তথ্য সংগ্রহ করে হালনাগাদ জানাবে।
📌 সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজ আপডেট পেতে।