দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড রিপোর্ট | ঢাকা, ১৩ মে ২০২৫:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ও চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান তার বিরুদ্ধে দেওয়া তিন বছরের সাজা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি এম খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চে এই আবেদন গৃহীত হয়।
ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, আপিল দাখিলে ৫৮৭ দিন দেরি হওয়ায় আদালতের কাছে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করা হয়, যা আদালত বিবেচনায় নিয়ে গ্রহণ করেছেন। এর ফলে এখন ডা. জুবাইদা রহমান নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল চালিয়ে যেতে পারবেন।
মামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অভিযোগ
২০২৩ সালের আগস্টে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়, ডা. জুবাইদা রহমান ও তার স্বামী তারেক রহমানকে দুর্নীতির অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়। মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি এবং তাদের সমর্থকরা বরাবরই এ মামলা ও রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করে আসছেন।
আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী, “এই মামলা শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য দায়ের করা হয়েছে। এতে কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া
এ আপিল গৃহীত হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তির আবহ বিরাজ করছে। দলের নেতারা বলছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা এবং ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সব আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই মামলার আপডেট ও রায়ের ফলাফলের ওপর ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অঙ্গনের দৃশ্যপটেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।