নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৫, ১০:৫৩ AM
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে চূড়ান্ত রায়ে খালাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন, যা দেশের আইনি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মামলার পটভূমি
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগের মধ্যে ৩টিতে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিগুলোতে কারাদণ্ড দেয়। মূল অভিযোগগুলো ছিল:
- ১৯৭১ সালে রংপুরে গণহত্যা ও নির্যাতনে ভূমিকা
- নারী ধর্ষণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ
- অপহরণ ও নির্যাতনের মতো অপরাধ
- ২০১৯ সালে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও ২০২৫ সালের এই রায়ে তা উল্টে যায়।
আপিলের মূল যুক্তি
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেন:
- প্রমাণের অভাব: সাক্ষ্যপ্রমাণ ও দলিলে অসঙ্গতি চিহ্নিত করা হয়
- সাক্ষীর বক্তব্যে বৈপরীত্য: মামলার সময় দেওয়া সাক্ষ্যগুলো পরস্পরবিরোধী ছিল
- আইনি প্রক্রিয়ার ত্রুটি: ট্রাইব্যুনালের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা তুলে ধরা হয়
রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিক্রিয়া
রাষ্ট্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে।
রায়ের তাৎপর্য
এই রায়ে স্পষ্ট হয়েছে যে, “আইনের চোখে সবাই সমান”—এটি শুধু একটি নীতিবাক্য নয়, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার বাস্তব প্রতিফলন। তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গবেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত