নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে পূর্ব লন্ডনের বেকটন এলাকায় বসবাস করছেন। তার সঙ্গেই রয়েছেন ঢাবির বিভিন্ন হলের কয়েকজন সাবেক নেতা ও কর্মী।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের সময় তিনি সঙ্গে ছিলেন না। তবে পরে গোপনে দেশ ত্যাগ করেন শয়ন। একইসঙ্গে পালিয়েছেন ঢাবির বিভিন্ন হলের কয়েকজন সভাপতিও।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। তখন শয়ন দাবি করেছিলেন, ‘আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ শতাংশ, বাকি সবাই ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মী।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগ ফুঁ দিলে আন্দোলনকারীরা ৫ মিনিটও দাঁড়াতে পারবে না।’ তার এই মন্তব্য দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
পরে আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং দুই সপ্তাহের মাথায় সরকার পতনের মুখে পড়ে।
সূত্র জানায়, শয়ন এখন প্রায়ই পূর্ব লন্ডনের বেকটন ডিস্ট্রিক্ট পার্কে সময় কাটান। লন্ডনের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আড্ডা শেষে তাকে পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবার খেতে দেখা যায় বলেও জানা গেছে।
এ নিয়ে ছাত্র ও প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। একজন বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ নেতার এভাবে লন্ডনে ঘুরে বেড়ানো এবং তার সঙ্গে অন্য নেতাদের ঘনিষ্ঠতা প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে।
Source: The Continental Herald