নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত হলো ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বেইজিং সামরিক কুচকাওয়াজ। তিয়ানআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত এ মহাযজ্ঞে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে উপস্থিত থেকে বিশ্বকে দেখালেন তাঁর দেশের সামরিক শক্তির পূর্ণ প্রদর্শনী। পাশে ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনসহ ২৬টি দেশের প্রতিনিধি।
শি জিনপিংয়ের বক্তব্য ও বার্তা
- শি জিনপিং সেনাদের উদ্দেশে বলেন, “মানবসভ্যতা আজও দাঁড়িয়ে আছে শান্তি বনাম যুদ্ধ, সংলাপ বনাম সংঘাতের দ্বিধাবিভক্ত মোড়ে।”
- তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে থাকবে, তবে জাতীয় পুনর্জাগরণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিহার্য।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনকালে শি বিদেশি মিত্রদের ধন্যবাদ জানান, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত শক্তি
এই কুচকাওয়াজে চীনের সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়—
- হাইপারসনিক মিসাইল ও ব্যালিস্টিক মিসাইল
- আধুনিক স্টেলথ ফাইটার জেট ও আগাম সতর্কীকরণ বিমান
- ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেম
- দীর্ঘপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, যা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম
- ৫০,০০০ দর্শকের সামনে হাজারো সেনা একসাথে মার্চ করে এবং আকাশপথে উড়ে যায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। ব্যানারে লেখা ছিল— “শান্তি বিজয়ী হবে”, “ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে”।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- পুতিন ও কিমের উপস্থিতি বিশ্বজুড়ে নতুন কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে যে চীন একা নয়।
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন, শি কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা স্মরণ করবেন?
- রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আয়োজন চীনের মহাশক্তি হয়ে ওঠার ঘোষণার পাশাপাশি পশ্চিমা চাপের জবাব।
বেইজিং সামরিক কুচকাওয়াজ কেবল একটি ঐতিহাসিক উদযাপন নয়, বরং এটি চীনের শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং বৈশ্বিক অবস্থান জানানোর কূটনৈতিক প্রদর্শনী। শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে দেশটি যে আর অবহেলার জায়গায় নেই, তা স্পষ্ট করেই তুলে ধরা হলো।
সত্য, স্বচ্ছ ও সাহসী সাংবাদিকতা
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত