হোম / বাংলাদেশ / জাতীয় সংবাদ / প্রবাসী ভোটারদের নিয়ে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য বিএনপি নেত্রীর
bnp-leader-insults-expatriate-voters-in-tv-show

প্রবাসী ভোটারদের নিয়ে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য বিএনপি নেত্রীর

দ্য কনটিনেন্টাল হেরাল্ড স্পেশাল ডেস্ক রিপোর্ট | ১৮ জুলাই ২০২৫

 

প্রবাসী ভোটারদের নিয়ে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য বিএনপি নেত্রীর। প্রমাণ হলো, বিএনপি চায় না জনগণের ভোট, চায় কেবল ক্ষমতার রাজনীতি!
বিদেশে অবস্থানরত কোটি কোটি বাংলাদেশির ভোটাধিকার ও নাগরিক মর্যাদাকে প্রকাশ্যেই অবজ্ঞা করলেন বিএনপির নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করে তিনি যে মন্তব্য করেন, তা ফটোকার্ডে রূপান্তর হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তোলে।

 

বিতর্কিত বক্তব্যে তিনি বলেন:

 

“প্রবাসীদের দায়িত্ব হচ্ছে তার পরিবারকে টাকা পাঠানো। তার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশ দিতে হবে, ভোটার বানাতে হবে কে বলেছে! একটা নিরাপদ জায়গা থেকে তারা প্রতিবাদ করে। আমাদের মতো রিমান্ড থেকে, পুলিশ পিটুনি, দিনের পর দিন ৪০ দিন–৫০ দিন এই থানা ওই থানা করে বেড়ানোর ওপর সময় রেখে রিমান্ড কার্যকর করা… এতে কি প্রবাসী ভোটাররা কখনো ভুক্তভোগী? ভুক্তভোগী না হলে ভোটের অংশীদার হতে যাবে কেন?”

 

এই বক্তব্য শুধু হতবাকই করেনি, প্রবাসী বাংলাদেশিদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী যাঁরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত, তাঁদের নাগরিক অধিকার নিয়ে এমন হীন মন্তব্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার মুখে মানায় না। কিন্তু বিএনপি বরাবরই সাধারণ জনগণকে অবমূল্যায়ন করে এসেছে — এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো দেশের গর্ব, প্রবাসীরাও।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সৈয়দা পাপিয়ার এই বক্তব্য একদিকে যেমন প্রবাসীদের ভোটাধিকার খর্ব করার ইঙ্গিত দেয়, তেমনি বিএনপির আসল চেহারাও উন্মোচন করে। তারা আসলে জনগণের উপর বিশ্বাস করে না, বরং আন্দোলন, ষড়যন্ত্র ও আন্তর্জাতিক চাপে ক্ষমতায় যেতে চায়। ভোট, জনগণের মতামত, কিংবা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, এসব তাদের কাছে মুখের বুলি মাত্র।

 

বিএনপি চায় ক্ষমতা, চায় না জনগণের অংশগ্রহণ

এমন বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, বিএনপির রাজনীতি মানেই ‘ভুক্তভোগীতার রাজনীতি’। যে দলের কাছে ভোটার মানেই শুধু রিমান্ডের গল্প শোনানো আর পুলিশি নির্যাতনের ব্যাকরণ — সে দল কখনোই গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না।

প্রবাসীরা আজ শুধু দেশের রেমিট্যান্স হিরো নয়, তারা দেশের সংস্কৃতি, পরিচিতি ও মর্যাদার আন্তর্জাতিক মুখ। তাঁদের ভোটাধিকার অস্বীকার করার মানে হলো দেশের সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর সরাসরি আঘাত।

 

জনগণের নয়, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি বিএনপির লক্ষ্য

সৈয়দা পাপিয়ার বক্তব্য আসলে বিএনপির মনের ভাষা। তারা জানে, জনগণের ভোটে তারা জিততে পারবে না। তাই ভোটারদের ভয় দেখিয়ে, প্রবাসীদের অবমূল্যায়ন করে তারা একটা এলিট-ভিত্তিক রাজনীতি দাঁড় করাতে চায় যেখানে জনমানুষের জন্য কোনো জায়গা নেই। এটাই তাদের মূল কৌশল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, ভোটারদের বিশ্বাসহীন করে তোলা এবং আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি নিয়ে ক্ষমতার দরজায় ধাক্কা দেয়া।

 

প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ, প্রতিবাদ জানাচ্ছে চারদিকে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ-বিদেশের প্রবাসীরা এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইতালি, মালয়েশিয়া, কাতার, আমেরিকাসহ নানা দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, “আমরা শুধু টাকা পাঠানোর মেশিন নই। আমরাও ভোট চাই, মতামত চাই, দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে অংশ নিতে চাই।”

 

এই ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যে যা প্রমাণ হলো:
✅ তারা জনগণকে ভয় পায়
✅ তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবজ্ঞা করে
✅ তারা গণতন্ত্রে নয়, ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী
✅ তারা জনগণের ভোট নয়, বিদেশি চাপকে হাতিয়ার করতে চায়

 

শেষ কথা:

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চিন্তা শুধুই রাজনৈতিক ঔদ্ধত্য নয়, এটি দেশের মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করার নামান্তর। যারা এমন কথা বলেন, তারা আসলে দেশের শত্রু। বিএনপি আবার প্রমাণ করলো, তারা কখনোই জনগণের পাশে নেই বরং সবসময়ই গণতন্ত্রের মুখোশ পরে ক্ষমতার খেলায় মেতে থাকে।

Share
Scroll to Top