দ্য কনটিনেন্টাল হেরাল্ড স্পেশাল রিপোর্ট | ২১ জুন ২০২৫
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোয়ান ইসরায়েলকে একহাত নিয়ে বললেন, “নেতানিয়াহুর সরকারই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় বাধা।” শনিবার ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত ৫১তম ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC) সম্মেলনে তিনি এই কঠোর মন্তব্য করেন।
এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে। ধ্বংস করছে হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, এমনকি চার্চও। তাঁর ভাষায়, “এই নির্মম হামলা ও নির্যাতনের মাধ্যমে নেতানিয়াহুর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার নয়, বরং সংঘাত বাড়ানোর পথ বেছে নিয়েছে।”
নাজি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ গাজা
ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে এরদোয়ান বলেন, “গাজায় বর্তমানে যে অবস্থা, তা নাৎসি বাহিনীর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ।” তিনি নেতানিয়াহুর ইহুদি জাতীয়তাবাদী মনোভাবকে হিটলারের মতাদর্শের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “এই জায়নিস্ট উচ্চাশা শুধু ইসরায়েল নয়, গোটা বিশ্বকেই বিপদের মুখে ফেলছে।”
“রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস” বললেন ইরানে হামলার বিষয়ে
১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে এরদোয়ান ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচিতে দ্বিমুখী নীতি ও ইরানের ওপর হামলার মাধ্যমে নেতানিয়াহুর সরকার কূটনৈতিক সমাধানকে ভণ্ডুল করছে।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আহ্বান জানান, “আন্তর্জাতিক মহলকে এখনই হস্তক্ষেপ করতে হবে। ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ মনোভাব ও উস্কানিমূলক বক্তব্য বিশ্বকে আরেকটি বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
এই ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কেবল ফিলিস্তিন নয়, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানে ইসরায়েলি হামলারও কঠোর সমালোচনা করেন এবং বলেন, “দূতাবাসে হাসি আর সম্মেলনে করমর্দন নয়— সময় এখন ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার।”