দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড ডেস্ক রিপোর্ট | ৩০ জুলাই ২০২৫
ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০,০৩৪ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার এই ভয়াবহ মাইলফলক অতিক্রম করেছে মানব ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস যুদ্ধটি।
দুর্ভিক্ষ, ধ্বংস আর মৃত্যুতে আচ্ছন্ন গাজায়, আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা IPC (Integrated Food Security Phase Classification) সতর্ক করেছে—গাজায় “দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতি” বাস্তব হয়ে উঠছে।
সাম্প্রতিক তথ্যে উঠে এসেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৮৩ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে ৩৩ জন মানবিক সহায়তা নিতে আসা নাগরিক।
আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমা বসানো রোবট, ট্যাংক ও ড্রোন ব্যবহার করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। স্থানীয়রা এটিকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর সবচেয়ে রক্তাক্ত রাতগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
খাদ্য সংকট এবং শিশু মৃত্যুর ভয়াবহ চিত্র
IPC-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
গাজা সিটির বেশিরভাগ এলাকায় খাদ্যগ্রহণ ও অপুষ্টতার মাত্রা ইতোমধ্যে ‘দুর্ভিক্ষের সীমানা’ অতিক্রম করেছে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু চরম অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৩ হাজার শিশু মারাত্মকভাবে অপুষ্ট।
দুর্ভিক্ষ, বাস্তুচ্যুতি, সীমিত মানবিক সহায়তা প্রবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধসে পড়া—এই সব কিছু মিলিয়ে গাজা এখন এক ভয়াবহ এবং মরণঘাতী মোড়ে পৌঁছেছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যুদ্ধবিরতির আড়ালে হামলা ও মানবিক সহায়তা প্রার্থীদের লক্ষ্য করে চালানো হামলাগুলো আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ তুলছে।
#গাজা_গণহত্যা #ইসরায়েলি_অপরাধ #ফিলিস্তিন #মানবিক_সংকট #গাজার_শিশুরা #দ্য_কন্টিনেন্টাল_হেরাল্ড