হোম / আন্তর্জাতিক / পাকিস্তানি সামরিক হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৫ জন নিহত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
India and Pakistan step up military strikes amid calls to de-escalate

পাকিস্তানি সামরিক হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৫ জন নিহত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভারত ও পাকিস্তান শনিবার একে অপরের সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে, যা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পর সবচেয়ে তীব্র সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের প্রতি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, দেশের পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণকারী উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কমিটি বৈঠকে বসবে। তবে পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানান, এমন কোনো বৈঠক নির্ধারিত নেই এবং তাত্ক্ষণিক কোনো পরমাণু হুমকি নেই। তিনি বলেন, “এটি এখনো অনেক দূরের বিষয়। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আলোচনা করাও ঠিক হবে না।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, “পাকিস্তানের সব শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড উপযুক্তভাবে প্রতিহত ও জবাব দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার স্থানীয় এক টিভিকে বলেন, “ভারত যদি এখানেই থামে, তাহলে আমরাও থামার কথা বিবেচনা করব।”

বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর পরমাণু অঞ্চলে এমন উত্তেজনায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে আসছেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দ্রুত পরমাণু সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। ভারত ‘নো-ফার্স্ট-ইউজ’ নীতিতে অটল থাকলেও পাকিস্তানের এমন কোনো নীতিমালা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শনিবার ফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে। তিনি উভয় পক্ষকে ‘ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সরাসরি যোগাযোগ পুনরায় চালু করার’ এবং ‘সহিংসতা থেকে সরে আসার’ আহ্বান জানান।

জয়শঙ্কর এক্স-এ বলেন, “ভারতের অবস্থান সবসময় দায়িত্বশীল ও পরিমিত ছিল, এবং তা এখনও বহাল রয়েছে।”

এদিকে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি এবং সামরিক বাহিনী থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দুই দেশের ভবিষ্যৎ অবস্থান নির্ভর করছে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও কূটনৈতিক ব্যবস্থার উপর।

আরও আপডেটের জন্য চোখ রাখুন The Continental Herald-এ।

Share
Scroll to Top