নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ PM
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার (১৬ জুলাই) সারাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। গত বছরের এই দিনে রংপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। তার স্মরণে সরকার এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
শোক দিবসের কর্মসূচি
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ‘জুলাই শহীদ দিবস’-এ নিম্নলিখিত কর্মসূচি পালন করা হবে:
- সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
- বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- মসজিদে বিশেষ দোয়া ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কেন এই দিবস গুরুত্বপূর্ণ?
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আবু সাঈদের মৃত্যু দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার আত্মদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সরকার এই দিনটিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি শুধু একটি শোক দিবস নয়, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণেরও একটি দিন।
সমাজ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন আলোচনা সভা ও স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তার সংগ্রামী জীবনকে স্মরণ করা হবে।
‘জুলাই শহীদ দিবস’ শুধু একটি শোকের দিন নয়, এটি আমাদের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। শহীদ আবু সাঈদ ও অন্যান্য সংগ্রামী মানুষের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে একটি সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই এই দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত