নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৫, ১১:৪০ PM
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সীমান্তে গোলাবর্ষণে নিহত এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করেছে। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিশুদের শিক্ষাদানকারী মোহাম্মদ ইকবালের পরিবার এখন মিডিয়ার এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চাইছে।
কী ঘটেছিল?
গত ৭ মে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় পুঞ্চ জেলার এক মাদ্রাসার কাছে গোলাবর্ষণে নিহত হন ইকবাল। কিন্তু তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় সংবাদ চ্যানেলগুলো তাকে “লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য” বলে প্রচার শুরু করে।
- জি নিউজ, এবিপি নিউজ ও নিউজ ১৮-এর মতো বড় চ্যানেলগুলো এই মিথ্যা খবর ছড়ায়।
- ইকবালের দাড়ি-টুপি দেখে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
- স্থানীয় পুলিশ পরে বিবৃতি দিয়ে জানায়, ইকবালের কোনো সন্ত্রাসী সংযোগ নেই।
পরিবারের করুন কাহিনী
- ইকবালের ভাই ফারুক আহমেদ বলেন,
“আমার ভাই ছিলেন শিশুদের প্রিয় শিক্ষক। মৃত্যুর পরও তাকে কলঙ্কিত করা হলো।”
- পরিবার আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলেও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পারছে না।
- সরকারি ক্ষতিপূরণ সাময়িক সহায়তা করলেও, ৮ সন্তান ও দুই স্ত্রী রেখে যাওয়া ইকবালের পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
মিডিয়ার দায়িত্বহীনতা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবরের প্লাবন দেখা গেছে:
- করাচি বন্দর ধ্বংসের মিথ্যা খবর (প্রমাণিত হয় ভুয়া)।
- এআই তৈরি ভিডিওতে পাকিস্তানি জেনারেলের মিথ্যা বক্তব্য।
- নিউজলন্ড্রির সম্পাদক মনীষা পান্ডে বলেন, “এতটা অসততা আগে কখনো দেখিনি।”
শেষ কথাঃ সত্যের অপেক্ষায়
ইকবালের মতো নিরীহ মানুষের মৃত্যু ও মর্যাদাহানির ঘটনা প্রশ্ন তোলে গণমাধ্যমের নীতিবোধ নিয়ে। যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে মিথ্যার অস্ত্র।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত