ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর আসন্ন ইউরোপ সফর বাতিল করেছেন। একইসাথে, তিনি দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রিসভা বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন।
ভারত সরকার একে “অতিরঞ্জিত নয়”, “সংযত” এবং “দায়িত্বশীল” হামলা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, এই হামলা কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে — বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করা হয়নি, যেটি পাকিস্তান দাবি করছে।
কাশ্মীর সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। গতরাতে সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণের ফলে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ জানিয়েছেন, রাতজুড়ে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন, কেউ কেউ পুরনো ব্যবহৃতহীন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে মোদির সফর বাতিল এবং নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠক ভারতের পক্ষ থেকে সংকট ব্যবস্থাপনার একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।