নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৫, ১১:২৪ PM
ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলায় পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বক্তব্য, এই হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের ৯টি “সন্ত্রাসী ঘাঁটি” লক্ষ্য করে সফল অভিযান চালিয়েছে। উত্তেজনার মধ্যে উভয় দেশ আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে।
হামলার বিবরণ ও উভয় পক্ষের দাবি
গত রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একাধিক যুদ্ধবিমান পাকিস্তানি সীমান্ত অতিক্রম করে কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ জানান, ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান (৩টি রাফাল, ১টি এসইউ-৩০, ১টি মিগ-২৯) এবং ১টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলা ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাব, যেখানে ২৬ ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এক টুইটে বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতেই হবে।”
আকাশসীমা বন্ধ ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
- ভারত: ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
- পাকিস্তান: ৪৮ ঘণ্টার জন্য সমস্ত আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। ইসলামাবাদ, লাহোর ও করাচি বিমানবন্দর অকার্যকর।
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়: চীন ও রাশিয়া শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রভাব
এই সংঘাতের ফলে:
- কাশ্মীর ইস্যু আরও উত্তপ্ত হতে পারে।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: উভয় দেশের বাণিজ্য ও পরিবহন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
- আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ: জাতিসংঘ বা মার্কিন মধ্যস্ততা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
‘অপারেশন সিন্দুর’ শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে একটি বড় ধরনের সংঘাতের সূচনা। বিশ্ব এখন দেখছে, এই উত্তেজনা কি যুদ্ধে রূপ নেবে, নাকি কূটনৈতিক সমাধান হবে।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত