পুতিনের বেইজিং সফর রাশিয়া–চীন সম্পর্ক আরও গভীর করছে—এই বার্তা স্পষ্ট হয়েছে সম্প্রতি সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলন ও সামরিক কুচকাওয়াজে তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে এই সফর দুই দেশের অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
- ২২টি নতুন চুক্তি ও জ্বালানি সহযোগিতা
- সফরে রাশিয়া ও চীন মোট ২২টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে জ্বালানি, বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য খাত রয়েছে।
- রাশিয়া–চীন–মঙ্গোলিয়া ত্রিপাক্ষিক সমঝোতায় পাওয়ার অব সাইবেরিয়া-২ গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণে অগ্রগতি হয়।
- এই পাইপলাইন বছরে ৫০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস চীন পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
ইতিহাস থেকে বর্তমান
- ১৯৯০-এর দশক থেকে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর পর দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়।
- ২০০০-এর দশকে সামরিক সহযোগিতা বাড়ে, চীন রাশিয়ার প্রধান অস্ত্র ক্রেতা হয়ে ওঠে।
- ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে চীনের ওপর আরও নির্ভরশীল করেছে। বর্তমানে চীন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ সহযোগিতা
- সফরে চুক্তি হয় রাশিয়ার চন্দ্রযান প্রযুক্তি চীনের Chang’e 7 মিশনে ব্যবহার করা হবে।
- এছাড়া বলশয় উসসুরিস্কি দ্বীপ উন্নয়নে যৌথ রোডম্যাপ তৈরি করা হয়।
ভারতের জন্য প্রভাব
- ভারত রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও চীন–রাশিয়া সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলে কৌশলগত ভারসাম্যে প্রভাব পড়তে পারে।
- বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহে মস্কোর ওপর দিল্লির নির্ভরতা রয়েছে।
পুতিনের বেইজিং সফর রাশিয়া–চীন সম্পর্ক আরও গভীর করছে—এটি শুধু দুই দেশের সম্পর্ককে নয়, বৈশ্বিক ভূরাজনীতিকেও প্রভাবিত করছে। জ্বালানি, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষায় বাড়তি সহযোগিতা দেখাচ্ছে যে এই অংশীদারিত্ব যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
সত্য, স্বচ্ছ ও সাহসী সাংবাদিকতা
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত