নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৫, ১১:২৮ PM
বাংলাদেশি পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী রুথবা ইয়াসমিন স্পেস নেশনের মুন পাইওনিয়ার মিশনে অংশ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির পথে রয়েছেন। এই মিশনে প্রধানত নারীদের নিয়ে গঠিত ক্রু (একজন পুরুষ সদস্যসহ) চাঁদে অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস দ্বারা অনুপ্রাণিত রুথবা হতে যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি চন্দ্রাভিযানে অংশ নেবেন।
মহাকাশযাত্রার শুরু: স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা
মাউন্ট হলিওক কলেজে পদার্থবিদ্যা পড়ার সময় থেকেই রুথবার মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ জন্মায়। পরবর্তীতে তিনি ডেটা সায়েন্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। মহাকাশ আবহাওয়া নিয়ে তার যুগান্তকারী গবেষণাই তাকে নিয়ে যায় অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং প্রোগ্রামে।
মিশনে রুথবার ভূমিকা
- ইভিএ (এক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি) বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
- বিকিরণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছেন
- চাঁদের সম্পদ উত্তোলন প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন
- চাপের মধ্যে কাজ করার অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন মিশন সিমুলেশনে
মহাকাশে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চান রুথবা
বর্তমানে মহাকাশচারীদের মধ্যে মাত্র ১১% নারী রয়েছেন। রুথবা জোর দিয়ে বলেন:
“মেয়েরা যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়, তবে তাদের সামনে অসাধারণ সব সুযোগ রয়েছে। আমাদের সাহসী হতে হবে এবং নিজেদের সক্ষমতা নিয়ে বিশ্বাস রাখতে হবে।”
চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি
মহাকাশ মিশনের জন্য রুথবা কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন:
- শারীরিক স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম
- মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার বিশেষ প্রশিক্ষণ
- শূন্য অভিকর্ষ পরিবেশে কাজ করার প্রস্তুতি
রুথবা ইয়াসমিনের এই যাত্রা শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। তিনি প্রমাণ করছেন যে দৃঢ় প্রত্যয় ও অধ্যবসায় থাকলে কোনো স্বপ্নই অসম্ভব নয়। বাংলাদেশের মেয়েরা যে বিশ্বের যে কোনো ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, রুথবা হচ্ছেন তার জীবন্ত উদাহরণ।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত