জেদ্দা: পবিত্র হজ মৌসুমের সূচনা হলো সৌদি আরবে। মঙ্গলবার জেদ্দার কিং আব্দুলআজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আগত ৩৯৬ জন হজযাত্রীকে সৌদি পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ আল-জাসের নিজে স্বাগত জানান।
একই দিনে আরও একটি ফ্লাইটে ৪১৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দায় পৌঁছান। তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেনসহ উভয় দেশের কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রদূত হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান এবং জানান, বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও হজ মিশন সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন মুসল্লি হজে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদি মন্ত্রী জানান, হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ছয়টি প্রধান বিমানবন্দর নির্ধারিত করা হয়েছে: জেদ্দা, মদিনা, ইয়ানবু, তাইফ, রিয়াদ এবং দাম্মাম। ধুল হিজ্জা মাসের শুরু পর্যন্ত এই ফ্লাইটগুলো চলবে এবং একটি সমন্বিত সেবা কাঠামোর মাধ্যমে হজযাত্রীদের আগমন ও প্রস্থান সহজ ও সম্মানজনক করতে কাজ করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পাকিস্তান থেকেও প্রথম হজ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার মদিনায় পৌঁছেছে, যেখানে ইসলামাবাদ থেকে ৪৪২ জন হজযাত্রী মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের অধীনে পৌঁছান। পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী সরদার মোহাম্মদ ইউসুফ তাদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা আল্লাহর মেহমান এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সৌদি আইন ও সংস্কৃতি যথাযথভাবে মেনে চলুন।” তিনি জানান, পাকিস্তান থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৮৯,০০০ এবং বেসরকারিভাবে আরও ২৩,৬২০ জন হজ পালন করবেন।
মালয়েশিয়া থেকেও প্রথম হজযাত্রীদের একটি দল মঙ্গলবার মদিনায় পৌঁছেছে, যারা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ এর আওতায় আগেই ই-ভিসা, স্বাস্থ্য যাচাই ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রওনা দিয়েছেন।
এছাড়া ভারত থেকেও মঙ্গলবার প্রথম হজ ফ্লাইটটি হায়দরাবাদ থেকে মদিনায় পৌঁছায়, যেখানে ২৬২ জন হজযাত্রীকে ফুল ও উপহারের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
সৌদি আরবের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এ বছর হজযাত্রীদের যাত্রা সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, যাতে তারা পবিত্র হজের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।