কিয়েভ, ২ জুন ২০২৫ – “ইস্তানবুল শান্তি আলোচনার আগে রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা” বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবা (এসবিইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার গভীরে অবস্থিত বিমান ঘাঁটিতে একযোগে ড্রোন হামলা চালিয়ে ৪০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। এই অভিযানটি প্রায় দেড় বছর ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি তদারকি করেছেন বলে জানা গেছে।
হামলার বিস্তারিত
- ১১৭টি ড্রোন ব্যবহার করে একযোগে হামলা
- A-50, Tu-95 ও Tu-22M এর মতো রাশিয়ার দূরপাল্লার বোমারু বিমান লক্ষ্য
- ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ বিলিয়ন ডলার বলে দাবি ইউক্রেনের
কীভাবে হামলা চালানো হয়?
এক গোপন সূত্র জানিয়েছে,
“FPV ড্রোনগুলি রাশিয়ায় পাচার করে কাঠের মোবাইল হাউজে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে হাউজের ছাদ খুলে ড্রোনগুলি বিমানের দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হামলা নিশ্চিত করে জানায়, ইরকুটস্ক ও মুরমানস্ক অঞ্চলের বিমান ঘাঁটিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তারা ইউক্রেনের ধ্বংসের পরিমাণ নিয়ে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
শান্তি আলোচনার প্রভাব
এই হামলা ঘটেছে ঠিক তখন, যখন আজ ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেনের নতুন দফার শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। জেলেনস্কি টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের নেতৃত্বে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেবে।
শেষ কথাঃ যুদ্ধ না শান্তি?
এই হামলা শান্তি আলোচনাকে জটিল করবে নাকি রাশিয়াকে চাপে ফেলবে – তা এখন দেখার বিষয়। তবে একথা স্পষ্ট, ইউক্রেন তাদের সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে এবং রাশিয়ার গভীরে হামলা চালানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত