নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৫
ইউক্রেন হামলায় রাশিয়া-হাঙ্গেরি তেল পাইপলাইন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ড্রোন ও রকেট হামলার মাধ্যমে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উনেচা পাম্পিং স্টেশনকে লক্ষ্যবস্তু করে। এই হামলার ফলে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় রাশিয়ান তেল সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, যা দুই দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় বড় প্রভাব ফেলেছে।
ড্রুজবা পাইপলাইনের ওপর হামলা
ড্রুজবা তেল পাইপলাইনটি সোভিয়েত আমলে নির্মিত হয় এবং রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক হামলার কারণে পাইপলাইনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া অন্তত পাঁচ দিন তেল সংকটে পড়তে পারে।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো বলেছেন,
“এটি আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর আরেকটি হামলা এবং আমাদের যুদ্ধের মধ্যে টেনে নেওয়ার চেষ্টা।”
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নতুন মাত্রা
ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে, যাতে মস্কোর যুদ্ধ অর্থনীতি দুর্বল হয়। অপরদিকে রাশিয়া নিয়মিতভাবে ইউক্রেনের গ্যাস অবকাঠামোতে আঘাত হেনে আসছে, যা শীতকালে ইউক্রেনের জনগণের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।
এই ঘটনার পর হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান আবারও ইউক্রেনের সমালোচনা করেছেন। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী হলেও এই হামলা তার সরকারের জন্য নতুন কূটনৈতিক চাপ তৈরি করেছে।
ইউরোপের জ্বালানি সংকটের ঝুঁকি
যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যান্য ২৫ সদস্যরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করেছে, তবুও হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া এখনো রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ফলে পাইপলাইনে কোনো ব্যাঘাত ঘটলেই তাদের অর্থনীতি চাপে পড়ে। ইউক্রেন হামলায় রাশিয়া-হাঙ্গেরি তেল পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিষয়টি পুরো ইউরোপের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউক্রেনের এই হামলা কেবল রাশিয়ার যুদ্ধক্ষমতা দুর্বল করার কৌশল নয়, বরং ইউরোপীয় জ্বালানি নিরাপত্তাকেও অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। ইউক্রেন হামলায় রাশিয়া-হাঙ্গেরি তেল পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব আগামী দিনগুলোতে ইউরোপীয় রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে অনুভূত হবে।
সত্য, স্বচ্ছ ও সাহসী সাংবাদিকতা
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত