নিজস্ব প্রতিবেদক, The Continental Herald
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৫, ১২:২৮ PM
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হয়েছে, যা এই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে একটি বিরল ইতিবাচক পদক্ষেপ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে। গত ২ জুন ইস্তাম্বুলে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে এই বিনিময় সম্ভব হয়েছে।
বন্দি বিনিময়ের বিস্তারিত
সোমবার (৯ জুন) থেকে ধাপে ধাপে বন্দি বিনিময়ের কাজ শুরু হয়েছে। জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউক্রেনীয় পতাকায় মোড়ানো সৈন্যদের ফিরে আসার ছবি শেয়ার করে উল্লাস প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে আহত, গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত এবং ২৫ বছরের কম বয়সী যোদ্ধারা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও নিশ্চিত করেছে যে এই বিনিময় ইস্তাম্বুল চুক্তির অংশ। তবে উভয় পক্ষই মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দির সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
শান্তি আলোচনা ও চুক্তির পথে বাধা
ইস্তাম্বুল আলোচনায় উভয় পক্ষ ১,০০০-এর বেশি বন্দি বিনিময়ের কথা বলেছিল, যা এই যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিময় হতে পারে। তবে গত সপ্তাহান্তে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় দেখা দেয়, যখন রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে।
জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে “নোংরা রাজনৈতিক খেলা” চলানোর অভিযোগ এনেছিলেন। অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করে যে ইউক্রেন নিহত সৈন্যদের দেহ ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
শান্তির পথে অগ্রগতি কি সম্ভব?
এই বন্দি বিনিময় যুদ্ধবিরতির পথে কিছুটা আশার আলো দেখালেও, স্থায়ী শান্তি এখনো অনিশ্চিত। রাশিয়ার কঠোর শর্ত এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার অভাব যুদ্ধবিরতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে রেখেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বড় ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন।
ইউক্রেন-রাশিয়া বন্দি বিনিময় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে কিছুটা স্বস্তি এনেছে, কিন্তু স্থায়ী শান্তির জন্য আরও সমঝোতা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা এই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
© The Continental Herald 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত