হোম / আন্তর্জাতিক / ইরান হামলা ঘিরে উত্তেজনা চরমে: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের আগে যুক্তরাষ্ট্রের B-2 বোমারু মোতায়েন
us-deploys-b2-bombers-as-trump-eyes-iran-strike

ইরান হামলা ঘিরে উত্তেজনা চরমে: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের আগে যুক্তরাষ্ট্রের B-2 বোমারু মোতায়েন

দ্য কন্টিনেন্টাল হেরাল্ড বিশেষ প্রতিবেদন | ২২ জুন ২০২৫
লেখা: আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টিং টিম

ইরানকে লক্ষ্য করে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভয়ঙ্করতম বোমারু বিমান B-2 Spirit মোতায়েন শুরু করেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতেই মিজৌরির হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স বেস থেকে একাধিক B-2 বোমারু আকাশে উড়ে যায় এবং প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশ অতিক্রম করে গুয়ামে দিকে রওনা হয়।

 

‘বাংকার বাস্টার’ প্রস্তুতি?

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই B-2 বোমারু বিমানে রয়েছে ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের Massive Ordnance Penetrator (MOP) বা তথাকথিত “বাংকার বাস্টার” বোমা, যা কেবলমাত্র এই বিমানেই বহন করা সম্ভব। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো ধ্বংসে এই বোমার প্রয়োজন হতে পারে।

 

শক্তি প্রদর্শন, না সরাসরি হুমকি?

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে B-2 বিমানের চলাচল ও প্রস্তুতি ট্রাম্পকে ‘বিকল্প’ দেওয়ার অংশ বলে তারা জানান। এটি একইসঙ্গে শক্তি প্রদর্শন ও মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

 

সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব

শুক্রবার রাতে ওকলাহোমা থেকে আটটি KC-135 Stratotanker উড্ডয়ন করে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ও এয়ার ট্রাফিক অডিও অনুযায়ী, এরা দুটি B-2 স্কোয়াড্রনকে মাঝ আকাশে জ্বালানি সরবরাহ করে, যাদের কল সাইন ছিল MYTEE11 FLT এবং MYTEE21 FLT — যা অতীতে B-2 মিশনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

 

স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, ভারত মহাসাগরের ডিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে ছয়টি KC-135 রিফুয়েলিং ট্যাংকার আগে থেকেই মোতায়েন রয়েছে — যা ইঙ্গিত দেয়, ইরান অভিযানের জন্য দূরবর্তী সমর্থন প্রস্তুত রয়েছে।

 

ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ‘কোনো সময়’

হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প পুরো সপ্তাহজুড়ে সিচুয়েশন রুমে তার জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন এবং সামরিক হামলার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। যদিও তিনি আগেই বলেছিলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দুই সপ্তাহ সময় নেবেন — তবে এখন বলছেন, এটি “সর্বোচ্চ সময়সীমা”, অর্থাৎ এর আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

 

বিশ্ব রাজনীতির দৃষ্টিতে এক অগ্নিসংকেত

মধ্যপ্রাচ্য যখন আগুনে জ্বলছে, তখন B-2-এর আকাশে ওড়ার অর্থ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি কেবল একটি বিমান নয়, বরং একটি বার্তা — যে যুক্তরাষ্ট্র এখন যে কোনো সময় ইরানের ওপর সর্বাত্মক হামলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

Share
Scroll to Top